বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাটাংশ-দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত। বাসন্তিকস্বপ্নম্ সংস্কৃত নাটক। বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাট্যাংশটি দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য হিসেবে নির্দিষ্ট। বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাট্যাংশটির দেবনাগরী ও বাংলা হরফে নিচে দেওয়া হল। বাংলায় সহজ ও সাবলীল কথায় অনুবাদ করা হল। বাসন্তিকস্বপ্নম্ Text
বাসন্তিকস্বপ্নম্ সংস্কৃত নাটক (নাটাংশ)
বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাট্যাংশটি দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য হিসেবে নির্দিষ্ট। বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাট্যাংশটির দেবনাগরী ও বাংলা হরফে নিচে দেওয়া হল। বাংলায় সহজ ও সাবলীল কথায় অনুবাদ করা হল। বাসন্তিকস্বপ্নম্ Text
বাসন্তিকস্বপ্নম্ সংস্কৃত নাটক
ভূমিকা
‘বাসস্তিকস্বপ্নম্’ নাটকটি ইংরেজি তথা বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্স্পীয়রের ১৫৯৫-৯৬ সালে লিখিত একটি মজার নাটক ‘এ মিত্সামার নাইট্স্ ড্রিম’ – এর সংস্কৃত অনুবাদ। দক্ষিণ ভারতের পুড়ুকোটা | শহরের এক সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত শ্রী কৃষ্ণমাচাৰ্য্য ১৮৯২ সালে এই নাটকটি। অনুবাদ করেন।
একটি বিদেশী নাটককে সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ করা খুবই কঠিন কাজ। ভরতমুনির নাট্যশাস্ত্র অনুযায়ী সংস্কৃত নাটকের কিছু কঠিন ও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। অন্যদিকে শেক্স্পীয়র ছিলেন সমস্ত নিয়মের ঊর্ধ্বে। ধ্রুপদী | নাটকের নিয়মাবলীকে ভেঙে-চুরে নাটককে সময়োপযোগী ও দর্শকের মনোগ্রাহী করাই ছিল নাট্যকারের মুখ্য উদ্দেশ্য। এই দুই বিপরীতধর্মী চিন্তা ভাবনার মধ্যে আশ্চর্য সেতুবন্ধন করেছেন পণ্ডিত কৃষ্ণমাচাৰ্য্য। বিদেশী নাটকের ভারতীয়করণ, তার ভাব ও অনুভূতিকে ভারতীয় সংস্কৃতির মধ্যে জারিত করে তিনি সৃষ্টি করেছেন এক অপূর্ব সাহিত্য। এই নাটকটি শুধুমাত্র অনুবাদ-কর্ম হিসেবে বিবেচনা না করে, একে একটি আলাদা মৌলিক | সাহিত্য হিসেবেও আমরা দেখতে পারি।
ইংরেজি নাটকের চরিত্র রাজা থেসিউস্ এই নাটকে হয়েছেন ইন্দ্রবর্মা; ইজিউস্ হয়েছেন ইন্দুশর্মা; লাইস্যান্ডার – বসন্ত; ডেমিট্রিয়াস – মকরন্দ; ফিলোসস্ট্রেট – প্রমোদ; রাণী হিপোলিটার নাম হয়েছে কনকলেখা; হার্মিয়া পরিণত হয়েছে কৌমুদী-তে; হেলেনা সৌদামিনীতে; ওবেরন ‘প্রদোষ’-এ; টিটানিয়া – নিম্ববতী; পাক্-প্রমোহ ইত্যাদি।
বর্তমান সংকলনে ‘বাসত্তিকস্বপ্নম্’ নাটকটির প্রথম অঙ্ক থেকে কিছু অংশ নেওয়া হয়েছে। আশা রাখি যে, ছাত্র-ছাত্রীরা নাটকটি সম্পর্কে প্রাথমিক একটি ধারণা পাবে ও পরবর্তীকালে দুটি নাটকই সম্পূর্ণভাবে পড়বে।
বাসন্তিকস্বপ্নম্ পাঠ্যাংশ (দেবনাগরী হরফ)
प्रथमोऽङ्कः
(राजा इन्द्रवर्मा, कनकलेखा, प्रमोदश्च) • रचयिता – गोविन्दकृष्ण मोदक
राजा :
- प्रिये कनकलेखेऽद्य कुहूर्तेयं दवीयसी ।
- चतुर्भिर्दिवसैभाविन्यप्यहं दीनमानसः ।।
- वसामि मदनाक्रान्तः शशङ्कस्त्वतिनिर्घृणः।
- यतोऽसौ क्षीयमानोऽपि क्षीयते सत्वरं न मे ।।
- अस्मदुद्वाहमुद्दिश्य सोऽस्मि पर्युत्सुकः सखि ।
- किं करोमि वरारोहे, नाड़िकाऽपि युगायते ।।
कनकलेखा :
वल्लभ ! दिनचतुष्टयं तु प्रायो रात्रचतुष्टयं भूत्वा क्षणमिव निद्रालुभिरस्माभिर्नीयमानमचिरेणैव दर्शमानेष्यति यस्य निशायामावयोः परिणयमहोत्सवो भविष्यति । तत् किमिति दूयते महाराजेन ।
राजा
रे प्रमोद, गच्छ सम्प्रति प्रतिरथ्य मस्मन्नगरस्य । तथा कुरुष्ब यथा सवेऽपि युवानो महोत्सवाभिनिविष्टचित्ताः परमाह्लादभरिता वतेरन् । दुःखं विद्रावय वैवस्वतनगरमावर्जय सर्वतः प्रमोदम् ।
प्रमोद :
यथाज्ञापयति देवः । (इति प्रणम्य निष्क्रान्तः)
राजा
प्रणयवति कनकलेखे, तस्मादद्य तादृशमप्रशस्तमार्गमुज्झित्वा महोत्सवप्रमोदप्रसाधनपूर्वं त्वां परिणेष्ये ।
(नेपथ्ये पदशब्द इव निपुणं निरूप्य)
किमयमागच्छन् वृद्धः कोपशोकाविष्ट इव दृश्यते। तमनु काचिदिन्दुवदना च (ततः प्रविशति इन्दुशमी कोमुदी च)।
इन्दुशमी:
(हस्तमु द्यभ्य) विजयतामस्माकमबनिपः ।
राजा
नमो भवत इन्दुशर्मन्, कथं कार्यातुर इब दृश्यते भवान् ?
इन्दुशमी
राजन्नियं में दुहिता मदाज्ञामुल्लङ्घयेदित्यतिदुःखितोऽहम् । महाराज, दीयतां दयार्द्रं चित्तम् । यावदियं वराकी मकरन्दमुपयम्य मन्मतन्नानुवर्तते तावदस्मद्देशाचारमनुसृत्य पित्राज्ञाहमतिवर्तिनोपत्यस्य यावान्दन्डो विहितस्तावन्तमेषाऽनुभवत्वित्याज्ञां दत्त्वाऽहमनुग्राह्यपक्षे गणयितब्य इति प्रार्थये।
राजा
(कोमुर्दी प्रति) कथय वासु, किं वा युक्तं समयबिरुद्धाचरणम्। अपि च, रमणीयोऽयं तरुणस्ते वरो मकरन्दः ।
कौमुदी :
महीपते, ! तथैव वसन्तोऽपि ।
राजा
वालिके, ! वसन्तः प्रियदर्शनोऽपि पितृपक्षपातोऽस्मिन्निति तव प्रेयान्मकरन्द एव ।
कौमुदी :
यदि मे जनको वीक्षते मदीक्षणेनैनं वसन्तं तदा वहुमानयिष्यति स एव मन्मानसम् ।
राजा
परं तद्विवेचनामाश्रित्य खलु वीक्षणीयं त्वया ।
कौमुदी :
करुणानिधे क्षम्यतां दासजन स्यायमपराधः । न जाने केन वा कारणेन मे मनस्येता दृशनिर्णयो जातः । विस्मृतं च मया किं कर्तब्यम् ।
राजा
अयि भद्रे, दर्शनीयं ते वपुः, आयातयामंवयः। यदि पितरं नानुवर्तसे तदा शरणं भवति मरणमथवा यावज्जीवं परिणयाकरणम् । एतादृशकुलसमयाचारविरुद्धगामिन्या सुखं नाम कथं भवेत् । एषा ते मतिर्न कल्याणी, न कदापि सुखावहा। अतः जनकस्य ते आदेशः पालनीयः ।
कौमुदी :
महाराज, वसन्तं विहाय नान्यं पश्येयम् । तदर्थं जीवितमपि त्यजेयम् । यावदायुः परिणयं विनापि वसेयम् । एष एव निश्चयोऽस्या मन्दभागिन्याः । (नेपथ्ये मृदङ्गध्वनिः)
कणकलेखा :
राजन्, सङ्गीतशालाभ्यन्तरे वहवः अस्मदागमनंप्रतीक्षन्ते । राजाः परंकार्यपरतया विस्मृतमेतत्सर्वमपि तत्त्वरितं गम्यते । अयि कौमुदि, सम्यगालोच्य तातमेबानुसर नोचेद्रज मरणम्। अस्मद्दण्डनीतिरित्यवधार्यताम् । प्रिये कनकलेखे, सम्प्रति साधयामः । (सर्वे निष्क्रान्ताः)
বাসন্তিকস্বপ্নম্ পাঠ্যাংশ (বাংলা হরফ এবং অনুবাদ)
বাসন্তিকস্বপ্নম্ পাঠ্যাংশ (Part-1)
রাজাঃ–
প্রিয়ে কনকলেখেহদ্য কুহুর্নেয়ং দবীয়সী।
চতুভির্দিবসৈর্ভাবিন্যপ্যহং দীনমানসঃ ।।
বসামি মদনাক্রান্তঃ শশাঙ্কস্ৱতিনির্ঘৃণঃ।
যতোহসৌ ক্ষীয়মাণোঽপি সত্বরং ক্ষীয়তে ন মে ।।
অস্মদুদ্বাহমুদ্দিশ্য সোহস্মি পর্যুৎসুকঃ সখি।
কিং করোমি বরারোহে, নাড়িকাঽপি যুগায়তে ।।
বাংলা অনুবাদ
রাজাঃ– প্রিয়ে কনকলেখা, আজ এই অমাবস্যা আর খুব দুরে নেই। মাত্র চার দিন বাকি থাকলেও আমি মনমরা। কামদেবের আক্রমণে আক্রান্ত হয়ে বসে আছি। কিন্তু চাঁদ অতিনিষ্ঠুর, কারণ সে ক্ষইছে বটে কিন্তু আমার মনে হচ্ছে সে তাড়াতাড়ি ক্ষইছে না। সখী, আমাদের বিয়েকে লক্ষ্য করে আমি খুব উৎসুক হয়ে আছি। কী করি সুন্দরী, এক ক্ষণ সময়ও যেন এক যুগ মনে হচ্ছে।
বাসন্তিকস্বপ্নম্ পাঠ্যাংশ (Part-2)
কনকলেখা:– বল্লভ ! দিনচতুষ্টয়ং তু প্রায়ো রাত্রচতুষ্টয়ং ভূত্বা ক্ষণমিব নিদ্রালুভিরস্মাভির্নীয়মানমচিরেণৈব দর্শমানেয্যতি যস্য নিশায়ামাবয়োঃ পরিণয়মহোৎসবো ভবিষ্যতি। তৎ কিমিতি দূয়তে মহারাজেন।
রাজাঃ– রে প্রমোদ, গচ্ছ সম্প্রতি প্রতিরথ্যমস্মন্নগরস্য। তথা কুরুষ যথা সর্বেহপি যুবানো মহোৎসবাভিনিবিষ্টচিত্তাঃ পরমাহ্লাদভরিতা বর্তেরন্। দুঃখং বিদ্রাবয় বৈবস্বতনগরমাবর্জয় সর্বতঃ প্রমোদম্।
প্রমোদঃ– যথাজ্ঞাপয়তি দেবঃ। (ইতি প্রণম্য নিষ্ক্রান্তঃ)
কনকলেখা:– স্বামী, চার দিন কিন্তু চার রাত্রি হয়ে যাবে, তারপর স্বপ্ন দেখতে দেখতে আমরা এক ক্ষণ সময়ের মতোই কাটিয়ে ফেলব, তাহলে অবিলম্বেই অমাবস্যা এনে দেবে। সেই রাত্রিতে আমাদের বিবাহ মহোৎসব হবে। তাহলে, মহারাজ এত উদ্বিগ্ন হচ্ছেন কেন!
রাজাঃ– ওহে প্রমোদ, এখন আমাদের নগরের প্রতিটা রাস্তায় যাও। এমন কাজ করো যাতে সব যুবকেরাই মহোৎসবে ডুবে গিয়ে অসীম আনন্দে ভরপুর হয়ে যায়। দুঃখকে যমের বাড়ি পাঠিয়ে সর্বত্র আনন্দ ঢেলে দাও।
প্রমোদঃ– মহারাজ, যেমন আজ্ঞা করেন। (এই কথা বলে, প্রনাম করে বেরিয়ে গেলেন।)
বাসন্তিকস্বপ্নম্ পাঠ্যাংশ (Part-3)
রাজাঃ– প্রণয়বতি কনকলেখে, তস্মাদদ্য তাদৃশমপ্রশস্তমার্গমুজ্ঝিত্বা মহোৎসবপ্রমোদ প্রসাধনপূর্বং ত্বাং পরিশেষ্যে। (নেপথ্যে পদশব্দ ইব নিপুণং নিরূপ্য) কিময়মাগচ্ছন্ বৃদ্ধঃ কোপশোকাবিষ্ট ইব দৃশ্যতে।তমনু কাচিদিন্দুবদনা চ ।
(ততঃ প্রবিশতি ইন্দুশর্মা কৌমুদী চ)
ইন্দুশর্মাঃ– (হস্তমুদ্যম্য) বিজয়তাস্মাকমবনিপঃ।
রাজাঃ– নমো ভবত ইন্দুশমন্, কথং কার্যাতুর ইব দৃশ্যতে ভবান্।
ইন্দুশর্মাঃ– রাজন্মিয়ং মে দুহিতা মদাজ্ঞামুল্লঙ্ঘয়েদিত্যতিদুঃখিতোংহম্ মহারাজ, দীয়তাং দয়াদ্রং চিত্তম্।যাবদিয়ং বরাকী মকরন্দমুপযম্য মম্মতন্নানুবর্ততে তাবদশদ্দেশাচারমনুসৃত্য পিত্রাজ্ঞাঽতিবর্তিনোহপত্যস্য যাবান্দণ্ডো বিহিতস্তাবন্তমেষাহনুভবত্বিত্যাজ্ঞাং দত্ত্বাহমনুগ্রাহ্যপক্ষে গণয়িতব্য ইতি প্রার্থয়ে ।
রাজাঃ– প্রণয়বতি কনকলেখা, তাহলে আজ ওইরকম নিন্দিত পথ ত্যাগ করে মহোৎসবের জাকজমকে ও সাজসজ্জায় সজ্জিত হয়ে তোমাকে বিয়ে করব। (নেপথ্যে পায়ের শব্দের মতো শুনে ভালোভাবে সতর্ক হয়ে, বুঝে) একজন বুড়ো লোক আসছে নাকি, ওকে ক্রুদ্ধ ও শোকগ্রস্তের মতো দেখাচ্ছে। আর, তার পেছনে কোনো এক চন্দ্রমুখী।
(তারপর ইন্দুশর্মা এবং কৌমুদী প্রবেশ করল)
ইন্দুশর্মাঃ– (হাত তুলে) আমাদের মহারাজের জয় হোক।
রাজাঃ– ইন্দুশর্মা, আপনাকে নমস্কার জানাই। কোনো কাজে আপনাকে উদ্বিগ্নের মতো দেখাচ্ছে কেন?
ইন্দুশর্মাঃ– রাজন্, আমার এই মেয়ে আমার আদেশ অমান্য করছে, তাই আমি অত্যন্ত দুঃখিত। মহারাজ, আমার প্রতি সদয় হোন। যতক্ষণ পর্যন্ত এই পাজি মেয়েটা মকরন্দকে বিয়ে করে আমার মত না মানছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দেশের আচার অনুসারে—বাবার আদেশ অমান্যকারী সন্তানের যা শাস্তি বিধান করা হয়েছে তা এ ভোগ করুক—এই আদেশ দিয়ে আমাকে অনুগৃহীত করুন, এই প্রার্থনা করি।
বাসন্তিকস্বপ্নম্ পাঠ্যাংশ (Part-4)
রাজাঃ– (কৌমুদীং প্রতি) কথয় বাসু, কিং বা যুক্তং সময়বিরুদ্ধাচরণম্। অপি চ রমণীয়োহয়ং তরুণস্তে বরো মকরন্দঃ ।
কৌমুদী- মহীপতে, তথৈব বসন্তোঽপি।
রাজাঃ– বালিকে! বসন্তঃ প্রিয়দর্শনোহপি পিতৃপক্ষপাতোহস্মিন্নিতি তব প্রেয়ান্ মকরন্দ এব।
কৌমুদিঃ-যদি মে জনকো বীক্ষতে, মদীক্ষণেনৈনং বসন্তম্ তদা বহুমানয়িষ্যতি স এব মন্মানসম্।
রাজাঃ– পরং তদবিবেচনামাশ্রিত্য খলু বীক্ষণীয়ং ত্বয়া।
কৌমুদী– করুণানিধে ক্ষম্যতাং দাসজনস্যায়মপরাধঃ। ন জানে কেন বা কারণেন মে মনস্যেতাদৃশনির্ণয়ো জাতঃ। বিস্মৃতং চ ময়া কিং কর্তব্যম্।
রাজাঃ– (কৌমুদীর প্রতি) বলো মেয়ে, নিয়মের বিরুদ্ধাচরণ করাটা কী ঠিক? আর, সুন্দর সেই যুবক মকরন্দ তোমার যোগ্য বর।
কৌমুদী- মহারাজ, বসন্তও সেইরকম।
রাজাঃ– বালিকা, বসন্ত সুন্দর দেখতে হলেও তোমার বাবার সমর্থন আছে কিন্তু ওর ওপর, তাই মকরন্দই তোমার পক্ষে বেশি যোগ্য।
কৌমুদী- যদি আমার বাবা আমার দৃষ্টিতে সেই বসন্তকে দেখেন তাহলে তিনিই আমার মতকে সম্মান করবেন।
রাজাঃ– কিন্তু তাঁর বিবেচনার ওপর নির্ভর করেই তোমাকে দেখতে হবে।
কৌমুদী–হে করুণার আশ্রয়, দাসীর এই অপরাধ মার্জনা করবেন। জানি না কোন্ কারণে আমার মনে এইরকম দৃঢ় সিদ্ধান্তের উদয় হয়েছে। ভুলেই গেছি আমার কী করণীয়।
বাসন্তিকস্বপ্নম্ পাঠ্যাংশ (Part-5)
রাজাঃ– অয়ি ভদ্রে, দর্শনীয়ং তে বপুঃ। অযাতযামং বয়ঃ। যদি পিতরং নানুবর্তসে তদা শরণং ভবতি মরণমথবা যাবজ্জীবং পরিণয়াকরণম্। এতাদৃশকুলসময়াচারবিরুদ্ধগামিন্যা সুখং নাম কথং ভবেৎ। এষা তে মতির্ন কল্যাণী, ন কদাপি সুখাবহা। অতঃ জনকস্য তে আদেশঃ পালনীয়ঃ।
কৌমুদী– মহারাজ, বসন্তং বিহায় নান্যং পশ্যেয়ম্। তদর্থং জীবিতমপি ত্যজেয়ম্। যাবদায়ুঃ পরিণয়ং বিনাপি বসেয়ম্। এষ এব নিশ্চয়োহস্যা মন্দভাগিন্যাঃ।
(নেপথ্যে মৃদঙ্গধ্বনিঃ)
কনকলেখা:– রাজন্ সঙ্গীতশালাভ্যন্তরে বহবঃ অস্মদাগমনং প্রতীক্ষন্তে।
রাজাঃ–পরং কার্যপরতয়া বিস্মৃতমেতৎসর্বমপি। তত্ত্বরিতং গম্যতে। অয়ি কৌমুদি, সম্যগালোচ্য তাতমেবানুসর নোচেদ্ভজ মরণম্। অস্মদণ্ডনীতিরিত্যবধাতাম্। প্রিয়ে কনকলেখে, সম্প্রতি সাধয়ামঃ।
(সর্বে নিষ্ক্রান্তাঃ)।
রাজাঃ– ও ভদ্রা, দেখার মতো তোমার শরীর। নতুন বয়স। যদি বাবার কথা না শোনো তাহলে, হয়, মৃত্যুকে বরণ করতে হবে নাহলে যাবজ্জীবন বিয়ে না করে থাকতে হবে। এইরকম কুল-নিয়ম পালনের বিরুদ্ধে গিয়ে তুমি কী করে সুখী হবে! তোমার এই বুদ্ধি কল্যাণকর হতে পারে না, কখনও সুখকরও হবে না। এতএব তোমার বাবার আদেশ পালন করা উচিত।
কৌমুদী– মহারাজ, বসন্তকে ছেড়ে আমি অন্য কাউকে দেখি না । সেই জন্য আমি প্রাণও বিসর্জন দেব। অথবা, যতদিন পর্যন্ত আয়ু থাকবে বিয়ে না করেই থাকব। এই মন্দভাগিনীর এটাই সিদ্ধান্ত।
(নেপথ্যে মৃদঙ্গের শব্দ)
কনকলেখা:– রাজন্, সঙ্গীত ঘরের মধ্যে অনেক লোক আমাদের আসার অপেক্ষা করছে।
রাজাঃ– তাই তো, কাজের মধ্যে থাকায় এই সব কিছুই ভুলে গেছি। এক্ষুণি যাচ্ছি। ও কৌমুদী, ঠিক করে আলোচনা করে বাবার মত মেনে নাও, না হলে মৃত্যু বরণ করো। এটাই আমাদের দণ্ডনীতি, নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো। প্রিয়ে কনকলেখা, চলো এখন আমরা বেরিয়ে পড়ি।
(সকলে বেরিয়ে গেলেন)।
বাসন্তিকস্বপ্নম্ সংস্কৃত নাটক (নাটাংশ) হতে প্রশ্ন উত্তর
- বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাটক হতে ছোট প্রশ্ন ও উত্তর-দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত
- বাসন্তিকস্বপ্নম্-নাটকের প্রথম তিনটি শ্লোকের ভাবার্থ
- বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাট্যাংশ অবলম্বনে রাজা ও কৌমুদীর কথোপকথন -1
- বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাটকে রাজা ইন্দ্রবর্মা ও কৌমুদীর কথোপকথন -2
- উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাট্যাংশ – কৌমুদীর চরিত্র
- বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাট্যাংশ অবলম্বনে রাজা ইন্দ্রবর্মার চরিত্র আলোচনা কর
- বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাট্যাংশের নামকরণের সার্থকতা
- বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাট্যাংশ অবলম্বনে রাজা ইন্দ্রবর্মার মনোভাব
উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত
গদ্যাংশ | 👉 আর্যাবর্তবর্ণনম্ 👉 বনগতাগুহা |
পদ্যাংশ | 👉 গঙ্গাস্তোত্রম্ 👉 কর্মযোগ |
নাট্যাংশ | 👉 বাসন্তিকস্বপ্নম্ |
দ্বাদশ শ্রেণী |
---|
HS Syllabus |
HS Question 2015 |
HS Question 2016 |
HS Question 2017 |
HS Question 2018 |
HS Question 2019 |
2020 (NO EXAM) |
2021 (NO EXAM) |
HS Question 2022 |