যতশ্চ নির্ধারণম্:- ‘সপ্তম্যধিকরণে চ’ – থেকে সপ্তমী এবং ষষ্ঠী চানাদরে’ থেকে ষষ্ঠী অনুবর্তিত হয়। সুতরাং এই সূত্রটি ষষ্ঠী ও সপ্তমী বিভক্তির বিধায়ক। যা থেকে নির্ধারণ করা হয় তাতে ষষ্ঠী ও সপ্তমী দুটি বিভক্তিই হয়।
সমুদায় থেকে একদেশ বা অবয়বের পৃথক করাকে নির্ধারন বলা হয়। জাতি,গুণ,ক্রিয়া অথবা সংজ্ঞা বিশিষ্ট কতগুলি ব্যক্তির দ্বারা সমুদয় গঠিত হয়। যেমন ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় প্রভৃতি জাতি বিশিষ্ট কতগুলি ব্যক্তির সমুদয় হল মনুষ্য। জাতি বিশিষ্ট বা গুণ বিশিষ্ট প্রভৃতি ব্যক্তির দ্বারা গঠিত, কোনো সমুদয় থেকে যদি সেই জাতি বিশিষ্ট অথবা গুন ক্রিয়াদি যুক্ত ব্যক্তির পৃথক করা হয়, তাহলে তা নির্ধারণ।
কিন্তু কোন জাতি, গুণ, ক্রিয়া অথবা সংজ্ঞা বিশিষ্ট ব্যক্তিকে তাদের সমুদয় থেকে পৃথক করতে গেলে কোন একটি বিশেষ ধর্মের দ্বারা তাকে পৃথক করতে হবে। এইরূপ একটি বিশেষ ধর্ম যা পৃথক করার অভিপ্রেত তা যে জাতি, গুণ প্রভৃতি যুক্ত ব্যক্তি সমুদয়ে বর্তমান, যা ঐ সমুদয়ের অন্য জাতীয় ব্যক্তিতে নাই, সেই ব্যাবৃত্ত ধর্মের দ্বারা পৃথক করা হয়।
যেমন – নরাণাং ব্রাহ্মণঃ শ্রেষ্ঠঃ’ অথবা ‘কবিষু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ’। প্রথম বাক্যে ব্রাহ্মণকে শ্রেষ্ঠত্ব ধর্মের দ্বারা ব্রাহ্মণেতর মনুষ্য থেকে পৃথক করা হয়েছে। ব্যাবৃত্ত ধর্মবত্ব প্রতিপাদন করাই এরূপ করণের উদ্দেশ্য।
এরূপ – ‘গবাং গোষু বা কৃষ্ণা বহুক্ষীরা’ এই বাক্যের দ্বারা কৃষ্ণা গাভীকে অনেক দুগ্ধবত্ব ধর্মের দ্বারা পৃথক করা হয়েছে। গাভী কৃষ্ণা শ্বেত প্রভৃতি গুনযুক্ত নয়।
কিন্তু ‘কৃষ্ণা গাভীবহু দুগ্ধবতী’- বললে বোঝা যায় অন্য গাভীগুলি অনেক দুগ্ধবতী নয়। সুতরাং ক্ষীরত্ব ধর্মের গাভীকে তদিতর গাভী থেকে পৃথক করা হয়েছে। গাভী কৃষ্ণা শ্বেত প্রভৃতি গুণযুক্ত হয়।