বনগতা গুহা: অলিপর্বার কৌতূহল কীভাবে নিরসন হয়েছিল?

“কিং ময়া প্রোক্তেন পূর্বপদোন দ্বারমিদং বিষটেত?” — অলিপর্বার কৌতূহল কী এবং অলিপর্বা কীভাবে কৌতূহল নিরসন করেছিল?বনগতা গুহা অবলম্বনে উত্তর দাও – “কিং ময়া প্রোক্তেন পূর্বপদোন দ্বারমিদং বিষটেত?” – অলিপর্বার কৌতূহল কী এবং অলিপর্বা কীভাবে কৌতূহল নিরসন করেছিল?

অলিপর্বার কৌতূহল কী? অলিপর্বা কীভাবে কৌতূহল নিরসন করেছিল?

অলিপর্বার কৌতূহল

বনগতা গুহা গল্পে যখন চল্লিশ চোর বনের গুহা থেকে বেরিয়ে এল। দস্যুসর্দার তখন বাইরে থেকে “সংবৃতং মন্ত্র উচ্চারণ করল-

স্কন্দরাজ নমস্তেঽস্তু চৌর্যপাটবদেশিক।

দস্যুদেব দ্বারমিদং বিবৃতং কৃপয়া কুরু।।

সঙ্গে সঙ্গে গুহ মুখ বন্ধ হয়ে গেল আগের মতো এই পদ্যাটি অলিপর্বা স্পষ্টভাবে শুনল এবং মৌনভাবে সেই পদ্য আবৃত্তি করে মুখস্থ করে নিল।

চল্লিশজন চোরে ঘোড়ার চড়ে চলে গেলে দরজার ব্যাপারটা অলিপর্বার মনের মধ্যে তীব্র কৌতূহলের সৃষ্টি করল

“বিবৃতং কৃপয়া কুরু’ এর রহস্যটা কী একবার পরীক্ষা করে দেখার জন্য ভিতরে ভিতরে কৌতূহল ক্রমশই বেছে উঠছিল। শেষ পর্যন্ত সাহসে ভর করে সে গাছ থেকে নেমে পড়ল। সে শৈলমুখের কাছে এগিয়ে এল। রহস্যটা একবার পরীক্ষা করে দেখতেই হবে “পশ্যামি তাবৎ। ততঃ পরং দৈবস্যায়ত্তম্।”

অলিপর্বার কৌতূহল নিরসন :

নিজের ভাগ্য দেবতার উপরে সঁপে দিয়ে পাহাড়ের গায়ে সেই গুহার মুখের সামনে দাঁড়িয়ে অলিপর্বা কৌতূহলে ভর করে দস্যুসর্দারের মতো চিৎকার করে মন্ত্রপাঠ করল –

স্কন্ধরাজ নমস্তেহস্তু চৌর্যপাটবদেশিক ।

দস্যুদেব দ্বারমিদং বিবৃতং কৃপয়া কুরু ।”

সঙ্গে সঙ্গে অলিপর্বাকে অবাক করে দিয়ে সেই গুগুয়ার খুলে গেল। তার ভিতরে প্রবেশ করে বিস্ময়ের সঙ্গে অলিপূর্বা দেখল এক মত বড়ো গুহা। গুহার মধ্যে নানারূপ জিনিস, বহুমূল্যবান রেশমি বস্ত্র, রাশি রাশি সোনা, রুপার অলংকারসমূহ। এত সব ধনসম্পন দেখে অলিপর্বা বিহ্বলের মতো কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল।

Comments