hs sanskrit banagataguha vabsamprasaran. বনগতাগুহা ভাবসম্প্রসারণ – a)ততঃ পরং দৈবস্যায়ত্তম্ b) ততোহয়ং দ্রুততরং ক্রামন্নগরং নিবৃত্তঃ। উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণী সংস্কৃত বনগতাগুহা ভাবসম্প্রসারণ । প্রশ্নের মান 4 ।
বনগতাগুহা ভাবসম্প্রসারণ
a)ততঃ পরং দৈবস্যায়ত্তম্
দৈব মানুষের উর্দ্ধে যা অবশ্যম্ভাবী ,তা যে কোনাে ভাবেই ঘটতে বাধ্য। মানুষ কর্ম করে ,কিন্তু কর্মফল ঈশ্বর দান করেন। সেখানে মানুষ হস্তক্ষেপ করতে পারে না, মানুষ নিজের ভাগ্য বদলাতে পারে না । যেটুকু প্রাপ্য তা তাকে পেতেই হবে।অর্থাৎ যা ঘটার তা ঘটবে, যেকোনাে প্রতিকূল অবস্থাতেই তা ঘটতে বাধ্য। মানুষের উচিত নিজ নিজ কর্তব্য করে যাওয়া, ভয়ে ভীত হয়ে কর্তব্য বিচ্যুতি হওয়া উচিত নয়।
b) ততোহয়ং দ্রুততরং ক্রামন্নগরং নিবৃত্তঃ
উঃ অলিপর্বা দূর থেকে দেখেছিল ডাকাতদলের কর্মকান্ড। পর্বতের গুহাদেশে সুরক্ষিত সম্পদগুচ্ছ কিভাবে তারা সেখানে রাখে তার গোপন কৌশল শিখে নিয়েছিল চোরদের উচ্চারণের মাধ্যমে। তাই গুহাভ্যন্তর থেকে চোরেরা বেরিয়ে গেলে অলিপৰ্বা সন্তর্পণে নির্দিষ্ট মন্ত্রোচ্চারণের দ্বারা গুহায় প্রবেশ করল। অতঃপর গুহায় অলিপর্বা সমস্ত দিকে রাশি রাশি ভোজনের সামগ্রী, দামী বস্ত্র, প্রচুর সোনা ও রূপার বাট দেখতে পেল এবং থলে ভর্তি করে তার গাধার ক্ষমতানুসারে সোনা নিল। সোনাভর্তি বস্তাগুলিকে গুহাদ্বারের কাছে এনে নির্দিষ্ট মন্ত্রে গুহামুখ খুলে সেগুলিকে গাধার পিঠে চাপিয়ে কাঠ দিয়ে আচ্ছাদিত করল ও সংবৃতি মন্ত্র দ্বারা গুহামুখ বন্ধ করল। চোরেরা যে কোন সময় সেই গুহাসম্মুখে প্রত্যাবর্তন করতে পারে এই শঙ্কা ছিল। তাই অলিপর্বা কালক্ষেপ না করে দ্রুত সেই সম্পদগুচ্ছ নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে নগর পৌঁছোল।