ভীত্রার্থানাং ভয়হেতুঃ:-আচার্য পাণিনীয় সূত্রটি আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত কৃত বৈয়াকরণ সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের কারক প্রকরণে পঞ্চমী বিধায়ক সূত্র এটি।
এটি কারকের অধিকার সূত্রের অন্তর্গত। ‘ভাতির্ভীঃ’ এবং ‘ত্রায়তে ইতি ত্রাঃ’ -এই অর্থেই ভী ধাতু এবং ত্রা ধাতুর উত্তর ক্বিপ্ প্রত্যয় যোগে ভী এবং ত্রা পদ দুটি নিষ্পন্ন হয়েছে। ‘ভীশ্চত্রাশ্চ ভীত্রৌ যেসাং তে = ভীত্রার্থাঃ’ – অর্থাৎ ভয়ার্থক ও ত্রানার্থক অর্থ এগুলি ভয়ার্থক ধাতু। ভয়হেতু শব্দের অর্থ যা হতে ভয় হয়।
তাই দীক্ষিত মহাশয় বলেছেন- “ভয়ার্থানাং ত্রানার্থানাঞ্চ প্রয়োগে ভয়হেতুরপাদানাং স্যাৎ। ” অর্থাৎ ভয়ার্থক এবং ত্রানার্থক ধাতুর প্রয়োগে যা ভয়ের হেতু তা অপাদান কারক সংজ্ঞা লাভ করে। যেমন- ‘চোরাৎ বিভেতি/ চৌরাৎ ত্রায়তে’ – এখানে ভয় ও ত্রান উভয়ের হেতু চোর বলে ভী এবং ত্রা ধাতুর প্রয়োগে এখানে অপাদান কারক হয়েছে।
আলোচ্য সূত্রে যদি ভয়ের হেতু গ্রহণ না থাকত তাহলে ভয়ার্থক এবং ত্রানার্থক ধাতুর প্রয়োগ থাকলেও অপাদান সংজ্ঞা হত না। যেমন- ‘অরণ্যে বিভেতি ত্রায়তে বা’ – এই বাক্যে অরণ্য ভয়ের কারণ নয় বলে এখানে অপাদান হয়নি। অরণ্য আধার হওয়ায় সপ্তমী বিভক্তি প্রযুক্ত হয়েছে। চোর ভয়ের কারণ হওয়ায় তাতে অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি হয়েছে। এই সূত্রটি হেতৌ এই তৃতীয়া বিধায়ক সূত্রের অপবাদ সূত্র, তাই ‘ব্যাঘ্রাৎ বিভেতি’, ‘চৌরাৎ ত্রায়তে’ ইত্যাদি প্রয়োগে হেতু অর্থে তৃতীয়া বাধিত হয়ে অপাদানে পঞ্চমী হয়েছে।