দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত বনগতাগুহা অলিপর্বার চরিত্র

উচ্চ মাধ্যমিক – দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত বনগতাগুহা ( Banagata guha ) পাঠ্যাংশ অবলম্বনে অলিপর্বার চরিত্র (aliparba character)বা তার সংগ্রামী জীবনের পরিচয় দাও?( উচ্চ মাধ্যমিক ( wbbchse ) সংস্কৃত দ্বাদশ শ্রেণীর অন্তর্গত বনগতাগুহা ( Banagata guha ) পাঠ্যাংশের বড় প্রশ্ন ( sanskrit long notes aliparba character) অলিপর্বার চরিত্র আলোচনা করা হয়েছে । )

অলিপর্বার চরিত্র | aliparba character


ভুমিকা :

বিংশ শতকের সংস্কৃত কবি শ্রীগোবিন্দকৃষণমোদক বিরচিত ‘চোরচত্বিারিংশীকথা’ গ্রন্থের প্রথম ভাগ ‘বনগতগুহা’ পাঠ্যাংশে মূল তথা কেন্দ্রীয় চরিত্র অলিপর্বার চরিত্রের বা সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলি ফুটে উঠেছে।

দারিদ্রতা :

দারিদ্রতা যেন তার জীবনের নিত্যসঙ্গী। তার পিতারও বিশেষ কোন ধনসম্পদ ছিল না। আবার দুর্ভাগ্যবশত: অলিপর্বা গরীব পরিবারে বিবাহ করার ফলে অনেক কষ্টে দিনযাপন করতে হত ‘‘আত্মানং চ কলত্রাপত্যানি চ মহতা কষ্টেন পুপোষ।’’


প্রবল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন :

গুহার দরজা খোলা ও বন্ধ করার সময় এই দুই বার মাত্র মন্ত্রটি শুনে মনে মনে কয়েকবার আবৃত্তি করে সে মন্ত্রটি মুখস্থ করে ফেলেছিল। এ থেকে তার চরিত্রের মধ্যে প্রবল স্মৃতিশক্তির পরিচয় পাওয়া যায়।
ধৈর্য্য ও সাহসীকতা : দুস্যুদলকে দেখে অলিপর্বা কিন্তু একটুও ভীত না হয়ে অসামান্য ধৈর্য্য ও সাহসীকতার মাধ্যমে তাদের কার্যকলাপ গোভনভাবে লক্ষ্য করে। এমনকি চোরেরা চলে যাওয়ার পরেও সে গাছ থেকে নামেনি। এতে তার উপস্থিত বুদ্ধিরও পরিচয় পাওয়া যায়।


আস্তিকবাদী :

অলিপর্বা যে ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন তা তার এই ‘‘তত: পরং দৈবস্যায়ত্তম্’’ উক্তিটি থেকে বোঝা যায়। আবার দৈবই তাকে সহায়তা করেছে ও এনে দিয়েছে স্বচ্ছল অবস্থার সুযোগ।


লোভহীনতা :

গরীব হলেও গুহার মধ্যে অজস্র সোনা দানা, খাবার দাবার দেখেও অলিপর্বা লোভী ব্যক্তির মতো আচরণ করেনি। তার তিনটি গাধার বহন ক্ষমতা অনুযায়ী সে ধনসম্পদ নগরে নিয়ে আসে।


মুল্যায়ণ :

পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষকে অলিপর্বা দেখিয়েছেন যে অনেক কষ্ট স্বীকার করেও সংভাবে বেঁচে থাকা যায়। আবার সংপথকে অবলম্বন করে বাঁচতে হলে অজস্র ক্ষতিও স্বীকার করে নিতে হবে।

পাঠ্যাংশের বড় প্রশ্ন ( sanskrit long notes ) এই ভাবে লিখলে আশা করি ভালো ফল হবে ।

উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত বনগতা গুহা বড় প্রশ্ন ও উত্তর

Comments