বনগতাগুহা গল্পাংশ অবলম্বনে কশ্যপ ও অলিপর্বার আর্থিক অবস্থার বর্ণনা

উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত বনগতাগুহা গল্পাংশ অবলম্বনে কশ্যপ ও অলিপর্বার আর্থিক অবস্থার বর্ণনা করা হল।

বনগতাগুহা গল্পাংশ অবলম্বনে কশ্যপ ও অলিপর্বার আর্থিক অবস্থার বর্ণনা দাও ?


ভূমিকা :

আধুনিক যুগের সংস্কৃত কবি শ্রীগোবিন্দকৃষণমোদক রচিত ‘চোরচত্বারিংশীকথা’ আখ্যানের ‘বনগতাগুহা পাঠ্যাংশটির প্রথম দিকে কশ্যপ ও অলিপর্বার আর্থিক অবস্থা পরিস্ফুট হয়েছে :
কশ্যপ ও অলিপর্বা ছিল পরস্পর সহোদর ভাই। তাদের পিতার খুব একটা বেশি ধনসম্পদ ছিল না। স্বভাবতই দারিদ্র্য ছিল তাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী। এইরকম এক পরিস্থিতিতে তাদের পিতা যখন বার্ধক্যে উপনীত হলেন তখন তিনি উপলব্ধি করলেন স্বীয় সম্পত্তি দুই পুত্রের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দিতে। কেননা তিনি চেয়েছিলেন ধন সম্পত্তি অর্জনের ক্ষেত্রে দুজনেরই সমান অবস্থা। কিন্তু তাদের এি সাম্যাবস্থা বেশিদিন বজায় থাকল না।


কশ্যপের আর্থিক অবস্থা :

কশ্যপ কোনো এক ধনীর কন্যাকে বিবাহ করেন। ফলে তিনি খুব শীঘ্রই শ্রেষ্ঠ বণিকদের সমান ধনবান্ হয়ে উঠলেন। তাই বিভিন্ন রকমের বিলাসিতার মাধ্যমে কালাতিপাত করতে থাকলেন। ধনসম্পত্তির প্রাচুর্যের কারণে তাঁর কাছে অভীষ্ট কোনো জিনিসই দুষ্প্রাপ্য ছিল না।

অলিপর্বার আর্থিক অবস্থা :

অলিপর্বার পিতার প্রাপ্ত সম্পত্তি অল্পই ছিল উপরন্তু তিনি বিয়ে করেছিলেন এক দারিদ্রের কন্যাকে। ফলে দারিদ্র তাঁর পিছু ছাড়েনি। তাই সে নি:স্বের মতো পর্ণকুটিরে বাস করতেন।স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করতে হতো। প্রতিদিন ভোরবেলায় সে বনে যেত জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের জন্য। তারপর সেই কাঠ নগরে বিক্রী করে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কোনোরকম সংসার চালাতেন। যদিও গল্পের অন্তিমভাগে দৈববশত: তাঁর আর্থিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছিল।

This post sponsored by sanskrit siksha kendra

Comments