তথাযুক্তং চানীপ্সিতম্ (১/৪/৫০) :-আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত কৃত বৈয়াকরণ সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের কারক প্রকরণে কর্ম কারক বিধায়ক সূত্র এটি সূত্রটির অর্থ হল- ‘ইপ্সিততমবৎ ক্রিয়য়া যুক্তমনীপ্সিতমপি কারকং কর্মসংজ্ঞং স্যাৎ।’ অর্থাৎ ইপ্সিততম্ কারকের মতো অনীপ্সিত কারকেও ক্রিয়ার দ্বারা বিশেষভাবে যুক্ত হলে কর্মসংজ্ঞা প্রাপ্ত হয়।
কর্তার বিশেষভাবে যুক্ত হলে কর্মসংজ্ঞা প্রাপ্ত হয়। কর্তার যা ইপ্সিততম তাই হল কর্মকারক। এটা হল কর্মকারকের সাধারন লক্ষণ। এর লক্ষণ অনুযায়ী-
- i) গ্রামং গচ্ছন্ তৃনং স্পৃশতি(উদাসীন্য)
- ii) ওদনং ভুঞ্জানো বিষং ভুঙক্তে।(দ্বেষ্য )
এই উদাহরণ দুটিতে তৃণ এবং বিষ্ এর কর্মত্ব সিদ্ধ হয় না। কারণ তৃন স্পর্শ বা ভক্ষণ করছে না। কারণ তৃন স্পর্শ করা বা বিষ ভক্ষণ করছে না। কারন তৃন স্পর্শ করা কর্তার ঔদাসীন্যের-ই লক্ষণ এবং বিষ ভক্ষনের ক্ষেত্রে কর্তার বিদ্বেষ ভাব পোষন করা হয়েছে। সুতরাং এরা কর্ম হতে পারে না।
এই জন্যই কর্মের দ্বিতীয় লক্ষণ করা হয়েছে। ইপ্সিত না হলেও অনীপ্সিত বস্তুও যদি ক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়, ক্রিয়ার দ্বারা সাথে যুক্ত হয়, ক্রিয়ার দ্বারা বিশেষভাবে আপ্ত হয় তাহলে তা কর্ম সংজ্ঞা প্রাপ্ত হয়। এটাই কর্মের দ্বিতীয় লক্ষণের মূল তাৎপর্য।
কারণ গ্রামে যাওয়ার ক্ষেত্রে তৃণ স্পর্শ করা কর্তার ঔদাসীন্য পরিলক্ষিত হয়। তাই এটি অনীপ্সিত হওয়া সত্ত্বেও তৃণং পদে কর্ম কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়েছে।
অপরদিকে, বিষ ভক্ষণ করা কারোও ঈপ্সিত নয় এটি ভক্ষণের দ্বারা বিদ্বেষ ভাবেই পরিলক্ষিত হয়েছে। তাই বিষং পদেও কর্ম কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়েছে। এটাই সূত্রটির মূল অর্থ।