উভয়প্রাপ্তৌ কর্মণি:- আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত কৃত বৈয়াকরণ সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের কারক প্রকরণের অন্তর্গত ষষ্ঠী বিভক্তি বিধায়ক আলোচ্য পাণিনীয় সূত্রটি গৃহীত হয়েছে।
সূত্রটির সাধারন অর্থ হল – ‘ উভয়োঃ প্রাপ্তির্যস্মিন্ কৃতি তত্র কর্মণ্যেব ষষ্ঠী’। অর্থাৎ যেখানে কর্তা ও কর্ম দুই-ই অনভিহিত সেখানে কৃদযোগে উভয়েই ষষ্ঠী সম্ভব। কিন্তু আলোচ্য সূত্রানুসারে সেখানে শুধু অনুক্ত কর্মেই ষষ্ঠী হইবে, অনুক্ত কর্তায় ষষ্ঠী না হইয়া তৃতীয়া হইবে।
যথা-
i) সূর্যেন জলস্য শোষণম্।
ii) শিশুনা পয়সঃ পানম্।
iii) আশ্চর্যো গবাং দোহো অগোপেন।
উক্ত উদাহরণ বাক্যগুলিতে শোষণম্ (শুষ+ল্যুট্), পানম্ (পা + ল্যুট্) ও দোহঃ (দুহ+ঘঞ্) কৃদন্ত শব্দ এবং উক্ত তিনটি বাক্যেই কর্তা (সূর্য, শিশু ও অগোপ) ও কর্ম (জল, পয়স ও গো) পদগুলি দ্বারা অনভিহিত। কিন্তু কৃদযোগে কর্মেই ষষ্ঠী হয়েছে কর্তায় নহে। যেহেতু বাক্যগুলিতে শোষণ প্রভৃতি কৃদন্ত শব্দগুলি কর্তা বা কর্ম কাহারও নির্দেশক বা বিশেষক নহে অতএব কর্তা ও কর্ম দুই-ই অনভিহিত। সেহেতু কর্মেই ষষ্ঠী বিভক্তি হয়েছে।
এটাই আলোচ্য সূত্রের মূল অভিপ্রায়।