বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা গুলি নিম্নে দেওয়া হল ।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা গুলি
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ১) যুক্তস্যাপি মধ্যে। (১/৩৩)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের ‘অজবিধি ‘ নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- ঋতঃ=রিঃ।
অর্থ:- পদের মধ্যে ঋকার যদি কোনো ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে ঋকার = রি হবে।
উদাহরণ :- তাদৃশঃ = তারিসো, ঈদৃশ=এরিসো।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ২) দশাদিষু হঃ।(২/৪০)
উৎস:- বররুচি তার প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অযুক্তব্যঞ্জনবিধি নামক দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি অবতারনা করেছেন।
অনুবৃত্তি :- শষোঃ।
অর্থ:- দশাদি অর্থাৎ দশ থেকে অষ্টাদশ শব্দে শ স্থানে হ হবে।
উদাহরন:- দশ=দহ, একাদশ=একারহ।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ৩) উৎসৌন্দর্য্যাদিষু (১/৪৫)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- উতঃ।
অর্থ:- সৌন্দর্য প্রভৃতি শব্দে ঔ কার স্থানে উকার হয়।
উদাহরন:- সৌন্দর্যম্ = সুন্দেরং, শৌন্তঃ=সুন্তো
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ৪) লোপৌঅরণ্যে (১/৩)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- অ অদেঃ অতঃ।
অর্থ:- অরণ্য শব্দে প্রথম অকারের অর্থাৎ অরণ্য শব্দের প্রথমে যে অ আছে তার লোপ হয়।
উদাহরণ :- অরণ্যম্ = রন্নং।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ৫) ঊদুদুপসর্গস্য বিসর্গেন হলি।
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- নেই
অর্থ:- হল্ বা ব্যঞ্জন পরে থাকলে উপসর্গের উকার বিসর্গের সঙ্গে মিলিত হয়ে উচ্চারণ হবে।
উদাহরণ :- দুঃসিঞ্চিতম্ = দূসিঞ্চিঅং,
দুঃসঞ্চারঃ = দূসঞ্চারো।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ৬) ঈদিত উপসর্গে।
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- হলি, বিসর্গেন।
অর্থ:- উপসর্গে ইকার এবং বিসর্গ যদি পাশাপাশি থাকে এবং ঠিক তার পরেই যদি থাকে ব্যঞ্জনবর্ণ তাহলে উপসর্গের ইকার এবং বিসর্গ দুয়ে মিলে ঈকার হবে।
উদাহরণ :- নিঃষঙ্গঃ = নীসংগো, নিঃশেষঃ = নীসেসো।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ৭) ও বদরে দেন। (১/৫)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদ আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- আদেঃ অতঃ।
অর্থ:- বদর শব্দে ব এর অকার দ এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ও কার হবে। এককথায় বদর শব্দের বদ্ = বো।
উদাহরণ:- বদরম্=বোরং।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ৮) চতুর্থী চতুর্দশ্যো স্তনা।
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- আদের অতঃ।
অর্থ:- চতুর্থী এবং চতুর্দশী শব্দে প্রথম অ কার আছে চ-অক্ষর ; সেই অকার পরবর্তী তু এর সঙ্গে মিলিত হয়ে বিকল্পে ও কার হবে। অর্থাৎ চতু=চো।
উদাহরণ:- চতুর্থী = চোখী, চতুর্দশী = চৌদ্দহী।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ৯) অন্ মুকুটাদিষু (১/২২)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- উতঃ।
অর্থ:- মুকুট প্রভৃতি শব্দে উকারের সথানে অ কার হবে।…
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ১৩) ঐরাবতে বা (২/১০)
উৎস:- বররুচি তার প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অযুক্তব্যঞ্জনবিধি নামক দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি অবতারনা করেছেন।
অনুবৃত্তি:- তঃ।
অর্থ:- ঐরাবত শব্দে অসংযুক্ত ও অনাদি ত্ কারের স্থানে বিকল্পে ণ কার হয়।
উদাহরণ:- ঐরাবতঃ = এরাবণো।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ১৪) সংজ্ঞায়াং বা। (২/৪১)
উৎস:- বররুচি তার প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অযুক্তব্যঞ্জন বিধি নামক দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি অবতারনা করেছেন।
অনুবৃত্তি:- হঃ।
অর্থ:- সংজ্ঞা বোঝালে দশ শব্দের শ স্থানে বিকল্পে হ হয়।
উদাহরণ:- দশবলঃ = দহবলো, দশরথ = দসরহো।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ১৫) স্থানাবহারে (৩/১৪)
উৎস:- বররুচি তার প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের যুক্তবিধি নামক তৃতীয় পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি অবতারনা করেছেন।
অনুবৃত্তি:- যুজ্ঃ, খঃ।
অর্থ:- স্থানৌ + অহরে। স্থানু শব্দের দুটি অর্থ হর বা শিব এবং স্তম্ভ বা থাম। অহর পদ স্থানুপদের বিশেষণ। অহর স্থানুপদে অর্…
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ১৭) মধ্যাহ্নেঅস্য (৩/৬)
উৎস:- বররুচি তার প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের যুক্তবিধি নামক তৃতীয় পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটির অবতারনা করেছেন।
অনুবৃত্তি:- লোপঃ।
অর্থ:- মধ্যাহ্নে শব্দের হ লুপ্ত হয়।
উদাহরণ:- মধ্যাহ্নঃ = মজঝান্নো।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ১৮) যুজষ্টস্য ঠ। (৩/৯)
উৎস:- বররুচি তার প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের যুক্তবিধি নামক তৃতীয় পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটির অবতারনা করেছেন।
অনুবৃত্তি:- নেই
অর্থ:- যুজ্ যুক্তবর্ণ। ষষ্ঠী একবচনে যুজঃ। এটি ষ্টস্য পদের বিশেষণ। সূত্রার্থ ষ্ঠ এই যুক্তবর্ণের স্থানে ঠ আদেশ হয় এবং আদেশের দ্বিত্ব হয়। তখন ঠ স্থানে হয় ট্ঠ অর্থাৎ ষষ্ঠ = ষট্ঠ।
উদাহরণ :- দৃষ্টিঃ = দিট্ঠী, মুষ্টিঃ = মুট্ঠী।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ১৯) এ চ শয্যাদিষু ( ১/৪)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- আদেঃ অতঃ।
অর্থ :- শয্যা প্রভৃতি শব্দে আদি অকারের একার হবে।
উদাহরণ:- শয্যা = সেজ্জা, সৌন্দর্যম্ = সুন্দেরং।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ২০) অদাতো যথাদিষু বা।(১/৮)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- নেই
অর্থ:- যথা প্রভৃতি শব্দে প্রথম আকারের স্থানে বিকল্পে অ কার হবে।
উদাহরণ :- তথা = তহা /তহ, প্রবাহ = পবাহো /পবহো।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ২১) শেষাদেশয়ো- দ্বিত্বমনাদৌ (৩/৪৯)
উৎস:- বররুচি তাঁর প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের যুক্তবিধি নামক তৃতীয় পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটির অবতারনা করেছেন।
অনুবৃত্তি:- নেই
অর্থ:- শেষ এবং আদেশ যদি পদের আদিতে না থাকে তাহলে তাদের দ্বিত্ব হয়। শেষ যদি পদের আদিতে না থাকে তাহলে তাদের দ্বিত্ব হয়।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ২২) এন্ নীড়াপীড়কিদৃশেদৃশেষু (১/১৯)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- ঈতঃ।
অর্থ:- নীড়,আপীড়, কিদৃশ এবং ঈদৃশ শব্দে ঈকার র স্থানে (ঈতঃ) একার (এৎ) হবে।
উদাহরণ:- নীড়ম্ = নেড্ডং, অপীড়ঃ = আমেলো, কীদৃশঃ = কেরিসো, ঈদৃশঃ = এরিসো।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ২৩) অৎ পথি -হরিদ্রা- পৃথিবীষু (১/১১)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি :- ইতঃ।
অর্থ:- পথিন্, হরিদ্রা এবং পৃথিবী শব্দে ইকারের স্থানে (ইতঃ) অকার (অৎ) হবে।
যেমন:- হরিদ্রা = হলদ্দা, পৃথিবী = পুহবী, পথিন্ = পহো।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ২৪) পৌরাদিষু অউৎ। (১/ ৪৩)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- উতঃ।
অর্থ:- পৌর প্রভৃতি শব্দে ঔকার স্থানে অউ হয়।
উদাহরণ:- পৌরঃ = পউরো, পৌরুষম্ = পউরিসো।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ২৪) পৌরাদিষু অউৎ। (১/ ৪৩)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- উতঃ।
অর্থ:- পৌর প্রভৃতি শব্দে ঔকার স্থানে অউ হয়।
উদাহরণ:- পৌরঃ = পউরো, পৌরুষম্ = পউরিসো।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ২৫) উত্তরীয়ানীয় য়োঃ র্যো জ্জো বা (২/১৬)
উৎস:- বররুচি তার প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অযুক্তব্যঞ্জনবিধি নামক দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি অবতারনা করেছেন।
অনুবৃত্তি:- নেই
অর্থ:- উত্তরীয় শব্দে এবং অনীয় প্রত্যয়ান্ত শব্দে অসংযুক্ত এবং অনাদি য্-স্থানে বিকল্পে ‘জ্জ্’ হবে।
উদাহরণ:- উত্তরীয়ম্ = উত্তরিজ্জং, রমনীয়ম্= রমনিজ্জং।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ২৬) অক্ষ্যাদিষু ছঃ। ( ৩/ ২৯)
উৎস:- বররুচি তার প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের যুক্তবিধি নামক তৃতীয় পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটির অবতারনা করেছেন।
অনুবৃত্তি:- নেই
অর্থ:- অক্ষি প্রভৃতি শব্দে ক্ষ স্থানে ছ (চ্ছ) হয়।
উদাহরণ:- অক্ষি = অচ্ছী, ক্ষীরম্ = ছীরং।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ২৬) অক্ষ্যাদিষু ছঃ। ( ৩/ ২৯)
উৎস:- বররুচি তার প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের যুক্তবিধি নামক তৃতীয় পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটির অবতারনা করেছেন।
অনুবৃত্তি:- নেই
অর্থ:- অক্ষি প্রভৃতি শব্দে ক্ষ স্থানে ছ (চ্ছ) হয়।
উদাহরণ:- অক্ষি = অচ্ছী, ক্ষীরম্ = ছীরং।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ২৭) আত্মনি পঃ। (৩/৪৭)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের যুক্তবিধি নামক তৃতীয় পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- নেই
অর্থ:- আত্মন্ শব্দের যুক্তবর্ণ ত্ম স্থানে বিকল্পে প্ হয়।
উদাহরণ:- আত্মা = অপ্পা, অত্তা।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ৩১) মনযামন্ত্যানাম্। (৩/২)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের যুক্তবিধি নামক তৃতীয়পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- লোপঃ।
অর্থ:- যুক্তবর্ণের নিম্নস্থিত ম্, ন্ ও য্ -কারের লোপ হয়।
উদাহরণ:- যুগ্মম্ = জুগ্গং, লগ্নঃ = লগ্গো।
রম্যা = রম্মা , শ্যামা = সামা।
৩২)
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ৩৩) ইদীত পানীয়াদিষু (১/ ১৮)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- নেই
অর্থ:- পানীয় প্রভৃতির শব্দের ঈকার স্থানে ইকার হয়।
উদাহরণ:- পাণীয়ম্ = পাণিঅং, অলীকম্ = অলীঅং।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ৩৪) এন্ নূপুরে (১/২৭)
উৎস:- বররুচি তার প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটির পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- ঊতঃ।
অর্থ:- নূপুর শব্দের ঊ কার স্থানে এ কার হবে।
উদাহরণ:- নূপুরম্ = ণেউরং।
বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা ৩৫) আ সমৃদ্ধ্যাদিষু বা (সমৃদ্ধ্যাদিষ্বাদেবতঃ আদ্ বা) (১/১)
উৎস:- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের অজবিধি নামক প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য সূত্রটি পাওয়া যায়।
অনুবৃত্তি:- নেই
অর্থ:- সমৃদ্ধি প্রভৃতি শব্দের প্রথম অকার স্থানে বিকল্পে আকার হয়।
উদাহরণ:- সমৃদ্ধি=সামিদ্ধী, সমিদ্ধী।
প্রকটম্ = পাঅডং/ পঅডং।
আরো পড়ুন প্রাকৃতপ্রকাশ হতে প্রশ্ন উত্তর গুলি –
- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ গ্রন্থের সূত্র বাখ্যা
- বররুচি রচিত প্রাকৃতপ্রকাশ: প্রাকৃত হতে সংস্কৃত & সংস্কৃত হতে প্রাকৃত