তর্কসংগ্রহ হতে তেজ সম্পর্কে টিকা লেখ ।
তর্কসংগ্রহ হতে তেজ সম্পর্কে টিকা
তেজ:- সাত প্রকার পদার্থের মধ্যে গুণাদির আশ্রয় হওয়ায় দ্রব্যই প্রধান। এজন্য পদার্থের মধ্যে দ্রব্যকে প্রথম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্নংভট্ট দ্রব্যকে লক্ষিত করে বলেছেন-
“দ্রব্যত্বজাতিমত্ত্বং গুণবত্ত্বং বা দ্রব্যসামান্যলক্ষণম্।”
অর্থাৎ জাতিমান বা গুনবান পদার্থই দ্রব্য। এই দ্রব্য নয় প্রকার।
“তত্র দ্রব্যাণি পৃথিব্যপ্তেজোবায়্বাকাশকালদিগাত্মমনাংসি নবৈব।”
এই নববিধ দ্রব্যের মধ্যে তেজ তৃতীয় প্রকার দ্রব্য।
তেজ হল সেই দ্রব্য যাতে উষ্ণস্পর্শ থাকে-
” উষ্ণস্পর্শবৎতেজঃ”।
মহর্ষি কনাদ তেজের লক্ষণ প্রসঙ্গে বলেছেন –
“তেজো রূপ স্পর্শবৎ।”
অর্থাৎ যা ভাস্বর শুক্লরূপ ও স্পর্শবিশিষ্ট তা তেজ। তেজে যে স্পর্শগুন থাকে তা তেজস উষ্ণতা।
অন্নংভট্ট দীপিকায় বলেছেন- “উষ্ণজলম্।” এইরূপ যে প্রতীতি হয় তা তেজের সঙ্গে জলের সম্বন্ধের জন্য হয়। এই তেজের লক্ষণে অতিব্যক্তি হয় না। অন্নংভট্ট তর্কসংগ্রহে তেজের বিভাগ দেখাতে গিয়ে বলেছেন তেজ দুপ্রকার –
” তৎ চ দ্বিবিধং নিত্যমনিত্যং চ।”
নিত্য ও অনিত্য। পরমানু তেজ নিত্য –
” নিত্যং পরমানুরূপম্”
তার উৎপত্তি ও বিনাশ নেই। পরমানুরূপ তেজ থেকে উৎপন্ন কার্যের তেজ অনিত্য-
” অনিত্যং কার্যরূপম্।”
আবার অনিত্য তেজ তিন প্রকার। শরীর, ইন্দ্রিয় ও বিষয়। তৈজস শরীর আদিত্যলোকে বা সূর্য লোকে প্রসিদ্ধ। তৈজস ইন্দ্রিয় রূপের গ্রাহক এবং তা চক্ষুরিন্দ্রিয়ের কৃষ্ণতারকার অগ্রভাগ থাকে। যে সকল দ্রব্যে মহৎ পরিমাণ উদ্ভূতরূপ ও উদ্ভূতস্পর্শ থাকে, তাদের চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা যায় তাছাড়াও ওইসব রবেয়া কৃতকর্ম সামান্য সমবায় সইনকা পরিমাণ সংযোগ অফার পড়ো তো অপরাধ দ্রব্য তত্ত্বের প্রবক্তা কে প্লেনের তার প্রত্যক্ষ হয়ে থাকে। তৈজস বিষয় ভৌম, দিব্য, উদর্য ও আকরজ ভেদে চতুর্বিধ-
” বিষয়শ্চতুর্বিধঃ ভৌমদিব্যোদর্যাকরজভেদাৎ।”
অগ্নি প্রভৃতি ভৌম তেজ-‘ ভৌম বহ্নাদিকম্’ কাঠ, তেল ইত্যাদির প্রজ্জ্বলনে উৎপন্ন তেজকে বলে ভৌম তেজ। দিব্যতেজ হল বিদ্যুৎ ইত্যাদি ‘দিব্যং বিদ্যুদাদি’। যার ইন্ধনতা জল। জীবদেহের উদরে অবস্থিত খাদ্য পরিপাককারী তেজকে উদর্যতেজ বলে। আকর অর্থাৎ খনিতে প্রাপ্ত সুবর্ণাদিকে আকরজ তেজ বলে। তেজভিন্ন পদার্থের দ্রব্যত্ব অত্যন্ত অগ্নি সংযোগে নামা হয় না। এজন্য স্বর্ণকে পৃথিবীর অন্তর্ভুক্ত না করে একে তেজপদার্থরূপে গ্রহণ করা হয়।