ভাষাতত্ত্ব হতে ধ্বনিগত ও রূপগত পরিবর্তনের বিশেষ নিয়ম বর্ণাগম। এই বর্ণাগম নিয়ে টিকা রচনা করা হল ।
বর্ণাগম
পৃথিবীর প্রত্যেকটি জীবন্ত ভাষা পরিবর্তিত হচ্ছে ও রূপান্তরিত হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়মে। যা তাঁর চলিষ্ণুতার পরিচয় বহন করে। ফলে তাদের মধ্যে সংগঠিত হচ্ছে ধ্বনিগত ও রূপগত পরিবর্তন। বহুভাষার এই বহু বিচিত্র পরিবর্তনের মধ্যে বর্ণাগম হল এক অন্যতম।
বর্ণাগম কাকে বলে
উচ্চারণের সুবিধার্থে শব্দের আদিতে বর্ণ-এর বা ধ্বনির আগম ঘটলে তাকে বলা হয় বর্ণাগম। সাধারনত সংস্কৃত শব্দের আদিতে বর্ণাগম সংগঠিত হয়। এই প্রক্রিয়া গ্রিকে সব থেকে বেশি দেখা যায়। তাই ইন্দো-ইউরোপিয় ভাষা (IE) ও OIA এর মধ্যে তুলনা করে বলা যায়।
যেমন:-
IE – Neun > OIA – Nava > GK-ennea.
~•
IE- Ner > OIA Nar > Nr,Gk-aner.
•
এছাড়াও বাংলায় স্ত্রী শব্দ উচ্চারণ করার সময় সাধারনত আমরা ইস্ত্রী উচ্চারণ করে থাকি। যেমন-
স্পর্ধা > আস্পর্ধা |
স্টেশন> ইষ্টেশন |
স্নান > আস্নান |
আবার স্বরের পূর্বে বর্ণের আগম দেখা যায়।
যেমন- এব> প্রাগেব।
এছাড়াও ইংরেজীতে
Stable > Astable.