ভারবির কিরাতার্জুনীয়ম্ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল ।
ভারবির কিরাতার্জুনীয়ম্
“স বিজয়াতাং রবিকীর্তিঃ কবিতাশ্রিত কালিদাস ভারবিকীর্তিঃ।-রবিকীর্তি।
সময় ও কবিপরিচিতিঃ-
দন্ডীর “অবন্তীসুন্দরীকথা” কথাগ্রন্থে জানা যায়। কৌশিকগোত্রীয় নারায়ণ স্বামীর পুত্র ভারবি বর্তমান গুজরাটের আনন্দপুরের অধিবাসী ছিলেন। ৫০০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি ভারবির আবির্ভাব হয়েছিল। এক তীর্থযাত্রার পথে তার রচিত শ্লোক রাজা বিষ্ণুবর্ধন এর কাছে পৌঁছালে ভারবি সেই রাজসভার সভাকবির সম্মান পান।
সর্গঃ-
সর্বসম্মতভাবে তাঁর রচিত কিরাতার্জুনীয়ম মহাকাব্যের সর্গের সংখ্যা ১৮ ।
উৎস ও বিষয়বস্তুঃ-
মহাভারতের বনপর্বের অন্তর্গত একটি ক্ষুদ্র কাহিনী এর উৎস। একই কাহিনী সম্বলিত শিবপুরাণ ভারবির পরবর্তী বলে অনুমান।
- ১. বনেচর কর্তৃক যুধিষ্ঠির সমীপে দুর্যোধনের শাসন ব্যবস্থার বিবরণ।
- ২. ভীমের যুদ্ধে উৎসাহ।
- ৩. ব্যাসদেব কর্তৃক মহাবিদ্যার উপদেশ।
- ৯. অর্জুনের প্রতি অপ্সরাদের প্রলোভনের ব্যর্থ চেষ্টা।
- ১১. ইন্দ্র কর্তৃক তপস্যার পরামর্শ।
- ১৩-১৫.কিরাতবেশী মহাদেব কর্তৃক বরাহ আক্রমন এবং মহাদেব ও অর্জুনের যুদ্ধ।
- ১৮. শিবের আত্মপ্রকাশ ও অর্জুনকে পাশুপাত অস্ত্র প্রদান।
উৎকর্ষঃ-
ওজঃ গুন ও বৈদর্ভী রীতির সমর্থক ভারবির রচনায়। অর্থগৌরবের প্রাচুর্য।
“সৌষ্ঠবঔদার্য বিশেষশালিনীং
বিনিশ্চিতার্থামিতি বাচম্।”
বিভিন্ন শাস্ত্র তত্ত্ব, রাজনৈতিক বিচার, ভারবি অনায়াস দক্ষতায় কাব্যের স্থান দিয়েছেন। একই সঙ্গে অরণ্য পর্বত, শরৎকাল, সন্ধ্যা, প্রিয়মিলন ইত্যাদি উপভোগ্য পর্যায়গুলি বর্ণিত হয়েছে। কৃত্রিম বন্ধের প্রয়োগ ভারবি কাব্যের বিরল বৈশিষ্ট্য।