টীকা: কালিদাস রচিত মহাকাব্য কুমারসম্ভবম্

সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস কালিদাস ( Kalidas) রচিত কুমারসম্ভবম্ (kumarasambhavam) মহাকাব্যটির টীকা হিসবে তুলে ধরা হল । কুমারসম্ভবম্ কাব্যের গ্রন্থবিন্যাস , কুমারসম্ভব কাব্যের বিষয়বস্তু ও কাব্যবৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে।

কুমারসম্ভবম্ টীকা

ভূমিকা :- সংস্কৃত সাহিত্য গগনে উজ্জ্বল নক্ষত্র মহাকবি কালিদাস। তিনি সংস্কৃত সাহিত্য জগৎকে দুটি মহাকাব্য উপহার দেন। একটি হল “রঘুবংশম্” এবং ” কুমারসম্ভবম্ ”। এই ” কুমারসম্ভব কবির তরুন বয়সের রচনা।

কুমারসম্ভবম্ কাব্যের গ্রন্থবিন্যাস:-

“কুমারসম্ভবম্” নাটকটি ১৭টি সর্গে বিভক্ত। তবে মনে করা হয় প্রথম ৮টি সর্গ কালিদাসের রচনা। বাকি ৯টি সর্গের রচয়িতা তিনি নন। কারন, মল্লিনাথ প্রথম ৮টি সর্গের টীকা রচনা করেছেন।

কুমারসম্ভব কাব্যের নামকরন :-

কুমার কার্তিকের জন্মের সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে মহাকাব্যটি রচিত। এইজন্য “কুমারসম্ভবম্” মহাকাব্যটি স্বার্থক ও যথার্থ।

কুমারসম্ভবম্ কাব্যের বিষয়বস্তু:-

তারকা পুরের অত্যাচারে অসহায় দেবতারা মহাদেবের স্মরনাপন্ন হন। তারকা সুরকে বধ করতে সক্ষম একজন সেনাপতিকে সৃষ্টি করার জন্য করুন মিনতি করেন। সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার উপদেশ অনুসারে হিমালয়ের কন্যা পার্বতী জন্মগ্রহণ করেন। তারপর পার্বতীর সাথে মহাদেবের বিবাহ হলে দেব সেনাপতি রূপে কার্তিকের জন্ম হয়। যে কার্তিক তারকাসুরকে নিধন করেন।

কুমারসম্ভবম্ কাব্যের কাব্যবৈশিষ্ট্য :-

কবি বিদেহী প্রেমের স্বরূপকে তার কাব্যে স্থান দিয়েছেন। কালিদাসের অন্য কোনো রচনায় শৃঙ্গার রসের বর্ণনা বেশি দেখা যায় না। তাহলেও কাব্য বর্ণনা অনুপম কাব্যগুন সমৃদ্ধ। এই গ্রন্থে গার্থস্ত্য জীবনের অপূর্ব চিত্র ফুটে উঠেছে।

মূল্যায়ন :-

উপমা কালিদাসস্য”-এই প্রশংসা বাক্য “কুমারসম্ভবম্” মহাকাব্যে যেখানে সেখানে দেখা যায়। মহাকবি কালিদাসের কাব্য প্রতিভা ও বর্ণনা চমৎকারিত্ব সহাবস্থান ঘটেছে। তাই বলা হয়- মহাকবি কালিদাস এযুগে জন্ম নিলে কবি না হয়ে ঔপন্যাসিক হতেন।

সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাসের অন্যান্য টীকা গুলি পড়ুন

Join Our Facebook Page

Comments